তোমাকে অতীতে যারা চিঠি লিখত
লিখে যায়
লিখবে লিখবে করে যাচ্ছে
অথবা
লিখিবে যারা
ডেগচি ভরে ভুরভুরা বাসনা লয়ে
বসুন্ধরা পাশে
পথে পথে পান্থজন
তারা কেউ একলা, কুকুরের মতন
লোনলী ব্রাত্য তারা
অতি দূর মরূ দেশে
যখন চিঠি কুড়াতে
একটা একটা
সেসব অজস্র চিঠিতে কী
থাকিত জানিও।
আহ!
উপহারের বেহালা যেন
প্রতি চিঠি!
এখনই বেজে উঠিবে
আমার পাঁজর ফুঁড়ে
ক্লাসিক মায়েস্ত্রো
আর কী কী ছিল?
ভোর ছিল নাকি?
ক্যামন ভোরেরা ছিল?
পানের পিকের মত ভোর
উঠিত বলে প্রতি চিঠিতে?
নাকি সোনালী মদিরা?
অনিরাপদ ভ্রমণ কেচ্ছা?
এটা সেটা?
হ্যান ত্যান?
সে সব চিঠির সুপুরুষালিত
শব্দ আমার থ্যাবড়া কুৎসিত
নাকে আজও জোর বাড়ি খায়
আমার খাটো মোকামে চলে
চিঠি পাঠের সরব আয়োজন।
যে ভোরে পাখি ডাকবে না
সে ভোরেই চিঠি দিও।
সবাইকে বিদায় দিয়ে
আমিও সেদিন লোনলী
সবাইকে এড়িয়ে গিয়ে
অটোমেটেড সিস্টেমে একা
একটু ভেবে দ্যাখো
মরূর ঝড় পেরিয়ে
সোনালী মদিরার ওপারে
একাকী খুব বোঁচা কুৎসিত কেউ
ডাক বাক্স খুলে বসে আছে
একা একা
ইস!
কী ম্যালানকলিক!
কাফরুল, ঢাকা
৮/৪/১৩
one of the best of whatever you have written till now : - )
উত্তরমুছুনThank You
মুছুন