আহা প্রাক্তন, এই খোলতা
রাতের ঘ্রাণে
শিউলি তলায় আবার তো
কুড়িয়ে পেলে
ঝিনুকের পেট খুলে
বেরিয়ে এসে পড়ে
চন্দ্রালোকের পথ রেখায় বসে
আমি
নজরে পড়তেই তো আবার
দীর্ঘকাল
রেখা সব মুছে দিয়ে দিয়ে
চলে যায়
বারবার জলে ভিজে তুমি
শৈবাল এক
ছোট্ট মাছেদের পৃথিবীতে
শীতকালীন জলের
ভিতর রুদ্ধশ্বাস
চিকীর্ষা।
ওগো প্রাক্তন, এই রসা
রজনীর রোহিনী মোরা
মায়াকাননের বাসনা বর্ণ
স্পর্শ চন্দিনী
ফুলেল ঘ্রাণ বাষ্প
পাখিদের ন্যায়
তবু বারবার শিকারীদের
কাঁটা দেখি
বুঝি মোদের বুকে প্রেম
ফ্যাকাসে
রঙের নিরল আস্তরণ খসে
পড়ে।
আহা প্রাক্তন, আমি বলছি
না
যে মালা ভালবেসে দিয়েছ
তাকে
সে মালার ফুল তুমি
সুধাকর
গাঁথ নি, পুরষ্ট মন্থিত
ঠোঁটে মধু চাখ নি
শুধু বলেছি যে ফুলে
মালা গাঁথ
নির্নিমিখ আমাকেও গেঁথে
ফেলো
মোর বুক এ ফোঁড়-ও ফোঁড়
করে পৃথিবী ঘিরে থাকা
নক্ষত্রদের দিকে
নরম ধবল পালক রাশি
উড়িয়ে
যখন একটিতে বসে ভাসতে ভাসতে
বাকিগুলোর নিরুপম পতন
দেখ
তখন কি সেই নিরুপমতার
একটিতে এমন খোলতা রাতে
মন্থর অবিরাম বিপন্নতার
পাশ ধরে
এই যে আমাকেও দেখ না?
না দেখিলে!
আমি বরং জাগরী এই খোলতা
রাতে
খোলা চুলে আদুল বাতাসের
সাথেই
কথা কই বৃহৎ শুভ্র
তারাকে ভালবেসে
চোখ বুজে ছুঁয়ে দেই
সরস নরম ফুলের বৃন্তকে।
৩০. ০৮. ১৫
ইব্রাহিমপুর, ঢাকা